ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

তরুনদের সহযোগীতায় ঈদগাঁওর বাঁশঘাটা সংযোগ সাঁকো

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

স্থানীয়দের কষ্ট দুরীকরনে তরুনদের  সহযোগিতায় কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ বাঁশঘাটায় কাঠের সংযোগ সাঁকো নির্মিত করা হয়। এতে সাধারন লোকজন স্বাভাবিক চলাচল করতে পেরে মহাখুশিতে উৎফুল্ল হয়ে পড়েছে।
ঈদগাঁও নদীর বাঁশঘাটা পয়েন্ট হতে নৌকা যোগে পারাপার হয়ে ইসলামাবাদ,পোকখালী, ইসলামপুরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যেত সাধারন মানুষ। ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নিলাম ডাক হলে ৫ মাস পর্যন্ত স্থানীয়রা দৈনিক পাঁচ টাকা হারে নৌকা ভাড়া দিয়ে এপার ওপার পারাপার হয়ে আসছে। এমনকি বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরও সাঁকোর ব্যবস্থা না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চাপাক্ষোভ দেখা দেয়। এছাড়া নানা সময়ে নদী পারাপারের সময় বিভিন্ন এলাকার লোকজন লাঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি গলাকাটা নৌ ভাড়া বানিজ্যে মেতে উঠেছিল। এমনকি প্রতিবাদ করার পরেও সুষ্ট সমাধান পায়নি ভুক্তভোগীরা।
অবশেষে নানা কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে  স্থানীয়দের কষ্ট দূরীকরণে এলাকার সচেতন যুবক আবুল মনসুর আহমেদ কাঠের সাঁকো তৈরীর নান্দনিক উদ্যোগ গ্রহন করে। পরবর্তীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম,ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, মিজানুল ইসলাম,কাঠ ব্যবসায়ী অহিদুল আলম সহ স্থানীয় ক্ষুদ্র কাঠ ও লাকড়ী ব্যবসায়ীদের আন্তরিক প্রচেষ্টাও আর্থিক সহযোগীতায় কাঠের সাঁকো নির্মানে জনদূর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসার ফলে এটি নির্মান করতে সক্ষম হন। গতকাল বাদে মাগরিব হতে বাঁশঘাটা জামে মসজিদের পেশ ইমামের মোনাজাতের মাধ্যমে সাঁকো চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, হুমায়ুন কোম্পানী, জাফর আলম,মোহাম্মদ ইলিয়াছ সও,জানে আলম, যুবনেতা মোহাম্মদ ইমরানসহ বিপুল সংখ্যক স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন। পরে সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।

সাঁকো নির্মানের প্রধান উদ্যোক্তা আবুল মনসুর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান,সাঁকোটি তৈরীতে কজনের ব্যাক্তির আর্থিক সহায়তা গ্রহন করা হয় এবং সর্বসাধারন সাঁকো পারাপার করতে পারবে অনায়াসে।

এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক জানান,এলাকার লোকজনের একান্ত সহযোগিতার পারাপারের লক্ষে ঈদগাঁও বাঁশঘাটার সাঁকোটি কাঠের সাহায্যে নির্মিত করা হয়।

পাঠকের মতামত: